ফেনীতে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাএী হত্যা

 ছবির ফুটফুটে কন্যা শিশুটির নাম তানিশা ইসলাম তিশা। মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তো। সে ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের আলী আহাম্মেদ ভুঞা বাড়ির সৌদিপ্রবাসী শহিদুল ইসলামের ছোট মেয়ে।



বুধবার ছিল তার ১১তম জন্মদিন।তিশার একমাত্র ভাই ২১ রমজান এতেকাফে বাড়ি পাশে মসজিদে চলে যায়। একমাত্র বড় বোনও শ্বশুর বাড়িতে। জন্মদিনে বোন আসেনি। রাতে উইশ করতে ভুলে গেছে। ফোনে এনিয়ে বোনে সাথে সে কি রাগ তিশার। এক পর্যায়ে ল্যাহেঙ্গার আবদার পূরণ করার শর্তে রাগ কমলো। বৃহস্পতিবার বিকেলে বড়বোন ল্যাহেঙ্গা নিয়ে বাড়ি হাজির।

        (ঘাতক জেঠাত ভাই) 

তিশাকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসায় দাদীর কাছে রেখে তার মা ও বড়বোন পাশের বাড়ি যায়। ঘণ্টা দেড়েক পর বাড়ি এসে তিশাকে না পেয়ে মা ছাদের দিকে খুঁজে যান। সেখানে যেতেই সিঁড়ি ঘরের মেঝেতে মিললো মেয়ের গলাকাটা লাশ। পুলিশ এলো ঘটনাস্থলে মিললো একজোড়া স্যান্ডেল। সেই স্যান্ডেলের সূত্র ধরেই আটক করা হলো তিশার জেষ্ঠাতো ভাই মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র নিশানকে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিশান হত্যার দায় স্বীকার করে। রাতেই নিশানের দেখানো মতে তিশাকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি ঘটনাস্থল ছাদ থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত ছাড়া হত্যাকাণ্ড কারণ জানাতে পারেনি। তবে ঘটনাস্থলের পারিপার্শ্বিকতায় আমি নিশ্চিত তিশার সাথে নিশান খারাপ কিছু করেছিল অথবা করার চেষ্টার ঘটনা চাপা দিতে তিশাকে মেরে ফেলা হয়েছে।অবাক হই শিশু নিশানের নৃশংস মানসিক শক্তি দেখে। খারাপ লাগছিলো যখন জানলাম নিশান তিন মাসের গর্ভে থাকার সময় বাবা মারা যায়। সে তার মায়ের একমাত্র সন্তান। তার মায়ের কি হবে। তিশার পরিবারও কিভাবে এ বড় শোক সইবে। 



আল্লাহ্ তাদেরকে শোক সইবার শক্তি দাও।

 


মনে বারবার প্রশ্ন জাগছে নিশান একটি কওমি মাদ্রায় পড়তো। তারও শিশুতোষ মন। আমার জানা মতে প্রচন্ড ধর্মীয় কারণে এসব কওমি মাদ্রাসার শিশু কিশোর ছাত্রগুলো অধিকাংশই আকাশ সংস্কৃতি ও ভার্চ্যুয়াল জগতের বাইরে থাকে। তারা তো এতো নৃশংস হতে পারে না। হয়ও না। তাহলে নিশানের এত নৃশংস শক্তিশালী মানসিকতার উৎস কি